নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৮ আগস্ট দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতার ম্যাজিক প্রমোশন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি ও সহযোগি অধ্যাপক ড. রাজিউর রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
ওই সংবাদে ড. রাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে অযৌক্তিকভাবে পদোন্নতি লাভ ও পোষ্য কোটায় ছাত্র ভর্তিসহ নানা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
রাজিউর রহমান বলেন, ‘গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্র-শিক্ষক শান্তিপূর্ণ সহবস্থান ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু স্বার্থনেষী একটি মহল পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে মুজিববাদী তকমা লাগিয়ে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে। মহলটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ও অন্যায়ের প্রতিবাদকারী জনপ্রিয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের জাল বিস্তার করতে শুরু করেছে।’
প্রমোশন অপগ্রেডেশনের বিষয় তিনি বলেন, ‘আমার প্রমোশন বা আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক সকল যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ হওয়ার পর বিভাগীয় প্লানিং কমিটি ও ডিনস্ কমিটি মতামত প্রদান করেছে। এছাড়া তাৎক্ষণিক যাচাই-বাছাই পূর্বক বিশ^বিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড আপগ্রেডেশন চূড়ান্ত করে। এক্ষেত্রে কোন নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি।’
আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সরফরাজ মন্ডলের বিষয়ে ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে মেধা তালিকায় ৮৯৭ নম্বর মেধাক্রমে অনুযায়ী সরফরাজ মন্ডল ২০১৭ সালের ২৬ডিসেম্বর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে বিভাগ পরিবর্তন করে ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ সে আইন বিভাগে ভর্তি হয়। আইন বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ও অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) ও সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দিনের সুপারিশে সরফরাজ মন্ডল আইন বিভাগে ভর্তি হয়। সে যখন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। তখন তার ভর্তি ফরমে স্থানীয় অভিভাবকের নামের স্থানে আমার নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করেছে। আমি এ ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না। এছাড়া আইনগতভাবে সে তার পোষ্য নয়। সরফরাজ মন্ডল কার পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছিল সেটি বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরের একাডেমিক শাখায় ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্প খুঁজে বের করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অত্র বিশ^বিদ্যালয়ে যারাই পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়েছে এবং সে কার পোষ্য তারা প্রত্যেকেই নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প প্রদান করেছেন। প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে মিল্টন শেখের যে বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে সেটি চক্রান্তমূলক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা মিল্টন শেখের কাছে জানতে চাইলে সে কিছুই জানে না। যার অডিও কল রেকর্ড সাংবাদিকরা সংগ্রহ করেছেন।’
এ সব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আইন বিভাগের সভাপতি ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয়ের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা প্রদানসহ সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি সব সময় সোচ্চার ছিলাম। এ কারণে একটি চক্রান্তÍকারী মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত ষড়যন্ত্র করে করে আসছে। আমি এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি দাবি করছি।’
অপরদিকে, বিশ^বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে শিক্ষকদের সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে একটি মহল। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল- মেধাবী ও প্রতিবাদী শিক্ষকদের মানসিকভাবে দুর্বল করা। যাতে সকল প্রকার অন্যায় করে তারা পার পেয়ে যাবেন। নিজেদের ইচ্ছেমতো বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। দুর্নীতি ও লুটপাট করলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ করতে সাহস পাবে না।
Leave a Reply