কাশিয়ানী প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী উপজেলার তারাইল উচ্চ বিদ্যালয়টি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বন্ধ ঘোষণা ।
আজ ৫ ই মে সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটায় স্কুলে গিয়ে দেখা যায় উড়ছে পতাকা কিন্তু নেই কোনো ছাত্র ছাত্রী।
ঐতিহ্যবাহী তারাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এমন দৃশ্য দেখে তথ্য সূত্রে জানতে পারি যে দীর্ঘ দিনের অন্তর্দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ এখন নিত্যদিনে ঘটে যাচ্ছে।এ স্কুলের, নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে এমন কোন অঘটন নেই যা এই বিদ্যালয়ে ঘটছে না। কিছু দিন আগে সহশিক্ষক ছবি রানি ব্যানার্জি অনিয়মতান্ত্রিক নিয়োগে একাধিক পত্রিকায় নিউজ হওয়ায় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া। আবার অনেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সহ এ স্কুলে চাকরি করা। স্কুলের রেজুলেশন চুরি অতঃপর সহশিক্ষকের নামে থানায় অভিযোগ। স্কুলে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়ে একে অপরের নামে দশাধীক অভিযোগ। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী জহির আহমেদের প্রতি অভিযোগ, কতিপয় শিক্ষকের নামে পাল্টা অভিযোগ । এঁকে অন্যের প্রতি মারমুখী আচরণ। বেতন তুলে ছাত্র ছাত্রীদের রশিদ না দেয়াসহ নানা অভিযোগ। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গজেন্দ্র নাথ ও কেরানি রবিন কুমার মজুমদার ছেলে মেয়ে থেকে এ্যাড মিট ও প্রশংসা পত্রের জন্য বকশিশ হিসাবে ভিক্ষাবৃত্তি করে নেন দশ থেকে পঞ্চাশ টাকা।
আজকে স্কুলটি বন্ধ কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি কাজী জহির আহমেদ বলেন, স্কুলের মধ্যে প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করায় কতিপয় শিক্ষক স্কুল থেকে চলে গেছেন। পরে অঘোষিত ভাবে ছাত্র ছাত্রী স্কুল ত্যাগ করেছ। আমি ক্লাসে ঢুকে ছেলে মেয়ের পড়াশোনার সতর্ক মূলক বার্তা দিতে গেলে কিছু শিক্ষক অসন্তোষ প্রকাশ করে। আমি এ স্কুলের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। মিলে মিশে পড়াশোনার মান ভালো করতে চাই।
এদিকে মুঠোফোনে সহকারী শিক্ষক ফোরকান শরীফ টিটো বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদত্যাগের পর নিয়োম বহির্ভূতভাবে সহকারী শিক্ষক বিধান চন্দ্র কে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া এবং সভাপতি শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ মারমুখী হওয়ায় আমরা ক্লাস বর্জন করে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছি।
ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে যে এলাকার সচেতন মহল ও সুশীল সমাজ এখন প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তারা বলেন স্কুল আমাদের, সন্তান আমাদের ওনাদের কোন্দলে আমাদের প্রজন্মের ধ্বংশ মেনে নেয়া হবে না। প্রশাসনিক কতৃপক্ষ আমাদের বিদ্যালয়টির প্রাণ ফিরে দিন এটাই আমাদের চাওয়া।
Leave a Reply