1. ma.zaman.news@gmail.com : Asaduzzaman Mollah : Asaduzzaman Mollah
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

নারীদের জীবন নিয়ে খেলা যার ‘নেশা’

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৩ Time View

জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: একে একে করেছেন চারটি বিয়ে। সর্বশেষ এক নারীকে বিয়ে করে এক মাস পরেই দিয়েছেন তালাক। মহিলা অধিদপ্তরের বাহাউদ্দিন নামে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

এই বাহাউদ্দিন বর্তমানে বর্তমানে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এমএলএস পদে কর্মরত রয়েছেন। তার পিতার নাম হাছান উদ্দিন দাড়িয়া। বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের চিতশী গ্রামে।

জানা গেছে, বাহাউদ্দিন (৫০) প্রায় ২৫ বছর আগে কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া গ্রামে বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীর ঘরে কলেজ পড়ুয়া একটি ছেলে রয়েছে। এরপর চাকুরী সুবাদে রাজশাহীতে থাকা অবস্থায় ওখানে একটি বিয়ে করেন। এখান থেকে বদলী হয়ে আসার পর বাহাউদ্দিন সেই স্ত্রীর আর খোঁজখবর রাখেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এরপর বাহাউদ্দিন তৃতীয় বিয়ে করেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বুজুর্গোকোনা গ্রামে। বর্তমানে এই স্ত্রীকে নিয়ে চিতশী গ্রামের বাড়ীতে বসবাস করছেন।

এরই মাঝে গত ৩০ মে বাহাউদ্দিন বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ঘোষগাতী গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক মাসের মাথায় বাহাউদ্দিন তার চতুর্থ স্ত্রীকে তালাক দেন।

ওই নারী বলেন, ‘অবিবাহিত চাকুরীজীবি এবং এতিম বলে বাহাউদ্দিন আমাদের কাছে পরিচয় দিয়ে ছিলেন। বিবাহের সময় কাবিনে দেড় লক্ষ টাকা লেখা হয়েছিল। কিন্তু তালাকের সময় বাহাউদ্দিন আমাকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।’

ওই নারীর মা বলেন, ‘বাহাউদ্দিন আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে। সে বলেছিল তার বাড়ী গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রামে এবং খুলনার জিরো পয়েন্টে জায়গা কিনেছে। সেখানে সে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাড়ী করবে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারলাম তার বাড়ী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চিতশী গ্রামে। তার স্ত্রী,সন্তান রয়েছে। এরপরেও আমার মেয়ে বাহাউদ্দিনের সাথে সংসার করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে বিভিন্ন লোকজন নিয়ে এসে আমাদেরকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমার মেয়েকে তালাক দিয়েছে।’

চিতশী গ্রামের সেকেন্দার মুন্সী বলেন, ‘বাহউদ্দিন একজন খারাপ চরিত্রের মানুষ। সে অনেক নারীর জীবন নিয়ে খেলেছে। এ পর্যন্ত ৪ টি বিয়ে করেছে। সর্বশেষ একটি মেয়েকে বিয়ে করে এক মাস সংসার করেছে। ওই নারীর কাবিনের টাকাটাও ঠিক মতো দেয়নি। এ ধরনের চরিত্রের একজন মানুষ কি করে মহিলা অধিদপ্তরে চাকুরি করে? যে দপ্তর নারীদের সুরক্ষায় কাজ করে। সেই দপ্তরের এক কর্মচারী নারীদের জীবন নিয়ে খেলছে। আমরা এলাকাবাসী ওর শাস্তি দাবি করছি।’

এ বিষয়ে জানার জন্য বাহাউদ্দিনের বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

বরিশালের গৌরনদী উপজেল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন বলেন, ‘বাহাউদ্দিনের একজন স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে বলে আমি জানি। এর বাইরে একাধিক বিয়ের বিষয়ে আমার জানা নেই। তার একাধিক বিয়ে বা কোন নারীর সাথে যদি প্রতারণা করে থাকেন, তাহলে সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024