1. ma.zaman.news@gmail.com : Asaduzzaman Mollah : Asaduzzaman Mollah
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ন

কাশিয়ানীতে বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক ইকরামুলের দাপট!

  • Update Time : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২২০ Time View

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ফরিদপুর যুগ্ম পরিচালক (সার) এস, এম ইকরামুল হকের বিরুদ্ধে কৃষি সেচ প্রকল্প দখলচেষ্টা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও হয়রানির অভিযোগ করেছে একটি পরিবার।

রোববার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের ধলগ্রাম নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী সাজ্জাদুল হক বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৮৯ সালে বিআরডিবি থেকে ঋণ নিয়ে একটি ডিজেল চালিত ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছিলেন। যা ২০০০ সাল থেকে বিদ্যুৎচলিত পাম্পের মাধ্যমে চালানো হয়। ২০২২ সালে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সেচ প্রকল্পটি আমি পরিচালনা করে আসছি। ২০২৪ সাল থেকে আমার চাচা এস এম ইকরামুল হক সেচ প্রকল্পটি দখলে নিতে পাঁয়তারা করে আসছেন। পুলিশ দিয়ে আমাকে রাজনৈতিক মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানির চেষ্টা করে আসছেন। প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করি। যার প্রেক্ষিতে কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা জান্নাতকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইকরামুল হক বিএডিসির বড় কর্মকর্তা হওয়ায় ইউএনও এবং উপজেলা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান প্রভাবিত হয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই আমাকে সেচ প্রকল্প ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। আমি ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তৃতীয় পক্ষকে সেচ প্রকল্পটি দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্পের বোরিং পাইপ চুরি ও নষ্ট হওয়ায় ১০ ফুট দুরত্বে বোরিং স্থাপন করি। যুগ্ম পরিচালক ইকরামুল হক পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন করে আমার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেন। এতে আমার সেচ প্রকল্পে সেচ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ ব্যবস্থা চালু রাখি। পুনঃসংযোগের বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে বিএডিসির ছাড়পত্র লাগবে বলে জানায়। কিন্তু উপজেলা বিএডিসি অফিসে বারবার ধর্ণা দিলেও আমাকে ছাড়পত্র দিচ্ছেন না বিএডিসি কর্মকর্তা মো. ইমরান। এদিকে, গত শনিবার রাতে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের চাকাটিও ভেঙে ফেলে ইকরামুল হকের লোকজন। ইকরামুলের বাড়ি গোপালগঞ্জে হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলা থাকা অবস্থায়ও পদোন্নতি বাগিয়ে নেন এবং প্রচুর অবৈধ অর্থবিত্তের মালিক হন। আমার বিএডিসিতে ১০০ টন বীজ সরবরাহের লাইসেন্স থাকলেও ইকরামুল হক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তা বন্ধ করে দিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘যুগ্ম পরিচালক ইকরামুল হক আমাকে ও আমার পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। প্রশাসন দিয়ে আমাকে একাধিকবার ভয় দেখিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ইকরামুল হকের ক্ষমতার অপব্যহার ও হয়রানি থেকে বাঁচতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে খবির উদ্দিন শেখ, সাজ্জাদুল শেখ, আবু বক্কার ভুইয়াসহ পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগের বিষয়ে এস এম ইকরামুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘যে জমিতে সেচ প্রকল্পটি ছিল, ওটা আমাদের ভাই-বোনের যৌথ রেকর্ডিও সম্পত্তি। কিন্ত আমার ভাতিজা সাজ্জাদুল হক কাউকে ওই সেচ প্রকল্পের ভাগ দিবে না। যে কারণে তার সাথে পারিবারিক কিছুটা ঝামেলা রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা-ভিত্তিহীন।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024