1. ma.zaman.news@gmail.com : Asaduzzaman Mollah : Asaduzzaman Mollah
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান বনাম চৌবাচ্চার অংক :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::: আদিম যুগে শিকারের পিছনে ধাওয়া করে প্রাণী শিকার করা হতো। ধাওয়া করতে করতে কখনো উঁচু পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে প্রাণীর গায়ে লাগলে সহজেই পরাস্ত হতো। এর থেকে ধারণা তৈরী হয় শিকারের জন্য পিছনে ধাওয়া করার চেয়ে বরং পাথর দিয়ে আঘাত বা ঢিল মেরে শিকার পরাস্ত করা অনেক বেশি সহজ। পাথর যদি সূচালো থাকে তাহলে প্রাণী সহজে পরাস্ত হয়। পরে পাথর ঘষে সূচালো করতে থাকে এবং সূচালো বস্তুই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হতে থাকে। ধারণা করা হয় প্রায় ৫০ লক্ষ বছর পূর্বে আদিম মানুষরাই প্রথম এই অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। প্রাণী শিকার, খেলাধূলা, আত্মরক্ষা, যুদ্ধ, আত্মহত্যা, শত্রু পক্ষের ক্ষতিসাধন এবং অধিকার বিস্তারের উদ্দেশ্যে নতুন নতুন ডিজাইনে অস্ত্রের ব্যবহার হতে থাকে। বিভিন্ন দেশে আইনের মাধ্যমে অস্ত্রের উৎপাদন, দখল, বাণিজ্য এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও বিভিন্নভাবে পাচার হয় নিষিদ্ধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ক্ষাত হলো অবৈধ অস্ত্রের উৎপাদন ও বেচাকেনা। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার মানুষের দুর্ভোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিনিয়ত উস্কে দেয়। একটি অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঘটলে প্রায় সকল প্রকার অপরাধের মাত্রা বাড়তে থাকে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার মানবাধিকার লঙ্ঘন, উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি হয়। স্বার্থান্বেষী মহল মাদক উৎপাদন, বাজারজাত, বহন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মানব পাচার, চোরাচালান, জঙ্গিবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এর কাজে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে। সন্ত্রাসের শক্তি বা প্রাণই হলো অবৈধ অস্ত্র। একটি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য অবৈধ অস্ত্রই যথেষ্ট। গণতন্ত্রের চর্চা, ক্রমবিকাশ ও স্থায়িত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে শুধু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলেই হবে না বরং অবৈধ অস্ত্র যে হাত বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে স্বার্থন্বেষী মহলের হাতে পৌছায় সেই হাত বা রাস্তা বন্ধ করতে না পারলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আশির দশক বা নব্বই দশকের গোড়ার দিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি পাটিগণিত অংকের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। অংকটা ছিল এরকম “একটি চৌবাচ্চার তিনটি নল। দুইটি নল দিয়ে ঘন্টায় ৫০ লিটার পানি প্রবেশ করে এবং একটা নল দিয়ে ঘন্টায় ২০ লিটার পানি বের হয়ে যায়। তিনটি নল একত্রে চালু থাকলে ৩০০ লিটার বিশিষ্ট একটি চৌবাচ্চা ভরতে কত সময় লাগবে? ” অংকটার মূল বিষয় ছিল যে, যেহেতু পানি বাহিরের রাস্তা থেকে প্রবেশের রাস্তা বেশী হওয়ার ফলে চৌবাচ্চাটি ভরা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের উৎসের রাস্তা সমূহ বন্ধ করতে পারলে জনগণ তথা দেশ এর সুফল পাবে। ধন্যবাদ সবাইকে মোঃ সিদ্দিকুজ্জামান খাকি এডভোকেট জজ কোর্ট, গোপালগঞ্জ। ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৬ পুলিশ সংস্কার নাকি রাজনীতি সংস্কার? ============================== কয়েক দিন যাবত স্যোশাল মিডিয়ায় গত ৫ আগস্ট ঢাকা আশুলিয়া থানা এলাকার ভ্যান গাড়িতে লাশের স্তুপ এবং পরবর্তীতে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ একটি শৃঙ্খলা বাহিনী। যাদের শ্লোগান হলো “সেবাই পুলিশের ধর্ম”। রাষ্ট্র পুলিশকে অনেক অধিকার দিয়েছে, দিয়েছে তদন্ত করার অধিকার, জিজ্ঞাসাবাদের অধিকার, আসামি গ্রেফতারের অধিকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার অধিকার, হরতালের সময় দায়িত্ব পালনের অধিকার, প্রটোকল দেয়ার অধিকার, মামলা করার অধিকার, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দীর্ঘদিন রাজনৈতিক লোকজন পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে। আমাদের দেশে যদি রাজনীতিবিদরাই রাজনীতি করতেন তাহলে পুলিশকে ব্যবহার করলেও তেমন বদনাম হতো না। কিন্তু রাজনীতিতে জুটেছে ব্যবসায়ী, হাট-বাজারের ইজারাদার, ব্রীজের টোল সংগ্রহকারী, মাদক ব্যবসায়ী, বিদ্যুতের মিটার রিডার, টেলিফোনের লাইনম্যান, চোরাকারবারি, বেশ্যার দালাল,বাস-লন্চ টার্মিনালের মাস্তান, ফেরিঘাটের মাস্তান, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, ক্রীড়াবিদ, ইউটিউবার ইত্যাদি। এরা রাজনীতিকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে টাকা-পয়সা, জোত-জমি, সোনা-দানা,বাড়ি-গাড়ি, আর নর্তকী নিয়ে আরাম আয়েশের জন্য উন্নত রিসোর্ট বানানোর কাজে লিপ্ত থাকে। শর্টকাটে ধনাঢ্য হয়ে টাকা পয়সা, সোনা-দানা সংগ্রহ করে চালের ড্রাম, বালিশের খোল, মাটির নীচ, খাটের নীচ, ট্রাঙ্ক, আলমারি ইত্যাদি ভরতে চায়। ফলে তাদের এই সমস্ত অপকর্মে পুলিশকে ব্যবহার করে। পুলিশও রাজনৈতিক নেতাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেটার একটা কারণও আছে বটে।বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য একটা গল্প বলা যেতে পারে। হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর পিতার নাম ছিল আযর। আযর ছিল নমরূদের দেহরক্ষী। নমরূদ ছিল তখন একচ্ছত্র ক্ষমতাধর সম্রাট। হযরত ইব্রাহিম (আ:) সৃষ্টিকর্তাকে খুজতে গিয়ে পিতা আযরকে জিজ্ঞাসা করলেন আমার সৃষ্টিকর্তা কে? উত্তরে ইব্রাহিম (আ:) পিতা আযর বললেন কেন আমি, আবার প্রশ্ন করলেন আপনার সৃষ্টিকর্তা কে? উত্তরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর পিতা বললেন কেন নমরূদ, আবার প্রশ্ন করলেন নমরূদের সৃষ্টিকর্তা কে? তখন ইব্রাহিম (আ:) এর পিতা উত্তর দিতে পারে নাই। কারণ নমরূদ তখন দুনিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতার সম্রাট, নমরূদের আবার সৃষ্টিকর্তা কে হবে। যাইহোক ইব্রাহিম (আ:) হতাশ না হয়ে নিজেই সৃষ্টিকর্তা খুজতে গিয়ে সন্ধ্যার সময় দূর আকাশে আলোকিত তারা দেখে প্রথমে মনে করেন তারাই বুঝি আমার সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু কিছু সময় পরে দূর আকাশে বড় চাঁদের আলো আসলে তারার মিটিমিটি আলো ম্লান হয়ে যায়। তখন তিনি মনে করেন তারা নয় বরং চাঁদের এতো আলো তাহলে এই চাঁদই বুঝি আমার সৃষ্টিকর্তা। রাত পেরিয়ে সকাল হতে হতে দেখেন পূর্ব আকাশে বিশাল আকারের এক সূর্য। সূর্যের আলোয় চাঁদের আলো পুরাই ম্লান হয়ে গেছে। তখন ভাবলেন চাঁদ নয় বরং সূর্যই আমার সৃষ্টিকর্তা। সন্ধ্যার সময় দেখেন সূর্যও ডুবে আকাশ কালো হয়ে গেছে। তখন ইব্রাহিম (আ:) বুঝলেন যে, এর কোন কিছুই আমার সৃষ্টিকর্তা নয়, বরং এই তারা, চাঁদ, সূর্য যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার সৃষ্টিকর্তা। গল্পটা বললাম এই কারণে আমাদের দেশের পুলিশ দেখে তার নিজের ডিপার্টমেন্টের অফিসারদের ক্ষমতার থেকে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা অনেক বেশি। রাজনৈতিক লোকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলির হুমকি ২৪ ঘন্টার আগেই বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা পুলিশের আছে। অভিজ্ঞতা আছে রাজনৈতিক নেতার আদেশ না মানার কারণে প্রোমোশন ও বদলির ক্ষেত্রে প্রভাব। ফলে রাজনৈতিক নেতাদের পুলিশ আরাধনা করে তাদের যেকোনো কাজে ব্যবহার হতে পিছ পা হয় না। সবকিছু ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মনে করে এই বুঝি আমার রক্ষাকারী। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে তাতে পুলিশ সংস্কারের আগে দরকার রাজনীতি সংস্কার। রাজনীতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে দক্ষ, যোগ্য ও সৎ রাজনৈতিক লোকের হাতে। তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। ধন্যবাদ সবাইকে মো: সিদ্দিকুজ্জামান খাকি এডভোকেট জজ কোর্ট, গোপালগঞ্জ। বেপরোয়া বাসের গতীতে “সড়কে ঝরলোপ্রণ”৬জনের কাশিয়ানীতে স্ত্রীর লাশ দিতে এসে মা ছেলে শ্রীঘরে। ——- সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামের এই গৃহবধূর মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে আটক হয়েছেন তারা। বুধবার সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের নিহত পপির বাবা শিকদার হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আটক কৃত পপির স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুন (৫৫)। তারা খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা। বিবরণে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় পপিকে শ্বাসরোধ করে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত পপির একস্বজন। পপির পরিবার ও এলাকাবাসীর বিবরণে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পপিরভাই সোহাগকে রায়হান ফোন করে জানান, পপি জ্ঞান হারিয়েছেন। খবর পেয়ে সোহাগ ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এর কিছুক্ষণ পর ফোনেবলে পপি মারা গেছেন। মরদেহ নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর শংকরপাশায় এসে পৌঁছালে চলে মরদেহ দাফন-কাফনের প্রস্তুতি। কিন্তু নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে রায়হান ও তার মা আবেদা খাতুনকে আটকে রাখে তারা। আজ বুধবার সকালে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের মা রিজিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে রায়হান ও পপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্য পপিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পপিকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন।’ মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন,এ ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিত্বে দিজনকে বটক করা হয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের জ্ন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। তবে মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কাশিয়ানীতে স্ত্রীর লাশ দিতে এসে মা ছেলে শ্রীঘরে। ——- সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামের এই গৃহবধূর মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে আটক হয়েছেন তারা। বুধবার সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের নিহত পপির বাবা শিকদার হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আটক কৃত পপির স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুন (৫৫)। তারা খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা। বিবরণে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় পপিকে শ্বাসরোধ করে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত পপির একস্বজন। পপির পরিবার ও এলাকাবাসীর বিবরণে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পপিরভাই সোহাগকে রায়হান ফোন করে জানান, পপি জ্ঞান হারিয়েছেন। খবর পেয়ে সোহাগ ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এর কিছুক্ষণ পর ফোনেবলে পপি মারা গেছেন। মরদেহ নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর শংকরপাশায় এসে পৌঁছালে চলে মরদেহ দাফন-কাফনের প্রস্তুতি। কিন্তু নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে রায়হান ও তার মা আবেদা খাতুনকে আটকে রাখে তারা। আজ বুধবার সকালে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের মা রিজিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে রায়হান ও পপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্য পপিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পপিকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন।’ মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন,এ ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিত্বে দিজনকে বটক করা হয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের জ্ন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। তবে মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়আহতআলম কাশিয়ানীতে ইসলামী আন্দোলনের ‘তৃণমূল দায়িত্বশীল’ সম্মেলন মানবসেবায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা কাশিয়ানীতে চুরি হওয়া অর্ণবের মৃত্যু দেহ পাওয়া গেছে

মানবসেবায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

  • Update Time : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক।

চুয়াডাঙ্গার সন্তান দিলীপ কুমার একজন মানবিক মানুষ। মানবসেবাই তার কাছে বড় ধর্ম। তার একটা ছোট উদাহরণ হলো-ঠাকুরদার প্রতিষ্ঠা করা রুপছায়া সিনেমা হলের নিকটস্থ কাঠপট্টিতে যখন ছিল স’মিল তখন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায়ও নিচ্ছিলো ব্যবসায়ে হাতেখড়ি। ওই স’ মিলে প্রতি মাসে জমা কাঠের গুঁড়ো একবারে কিনে নিয়ে খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে মাসে বেশ ভালোই লাভ হতো। লাভের টাকা ইচ্ছেমতো খরচের এক্তিয়ার থাকলেও কোন দিনই তা করেননি। লাভের যৎসামান্য টাকা গচ্ছিত রেখে চুয়াডাঙ্গার যত বেওয়ারিশ লাশ হতো, ময়নাতদন্ত শেষে তা দাফনের ব্যয় মেটাতো দিলীপ কুমার। এ কাজে এগিয়ে আসা মানুষ ওইসময়ে ছিল বিরল।

শুধু বেওয়ারিশ লাশ দাফন সৎকার? কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোও যেনো তার অস্থি-মজ্জায় মিশে থাকা অভ্যাস।

ব্যবসায় যেমন ঘটেছে প্রসার, তেমনই মানবতার সেবায় দিলীপ কুমার নিজেকে নিবেদিত রেখেছে। বাড়িয়েছে মানব সেবার পরিধি। মা তারাদেবীর নামে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে চুয়াডাঙ্গাসহ বেশ কিছু এলাকার মানুষের সার্বিক কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ নিখরচায় প্রসূতি নারীকে নিকটস্থ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে তার অবদান অনস্বীকার্য। বিশুদ্ধ বন্ধুত্বে অনন্য উদাহরণ। অবাক হলেও সত্য কয়েকশত মেধাবী শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করে চলেছে নীরবে।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন- আমি সর্বদা চেষ্টা করেছি আমার অর্থ ও শ্রম দিয়ে মানুষের ও দেশের সেবা করতে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি আমার বাকী জীবনটা আমার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য ব্যয় করতে পারি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

যৌথ বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান বনাম চৌবাচ্চার অংক :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::: আদিম যুগে শিকারের পিছনে ধাওয়া করে প্রাণী শিকার করা হতো। ধাওয়া করতে করতে কখনো উঁচু পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে প্রাণীর গায়ে লাগলে সহজেই পরাস্ত হতো। এর থেকে ধারণা তৈরী হয় শিকারের জন্য পিছনে ধাওয়া করার চেয়ে বরং পাথর দিয়ে আঘাত বা ঢিল মেরে শিকার পরাস্ত করা অনেক বেশি সহজ। পাথর যদি সূচালো থাকে তাহলে প্রাণী সহজে পরাস্ত হয়। পরে পাথর ঘষে সূচালো করতে থাকে এবং সূচালো বস্তুই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হতে থাকে। ধারণা করা হয় প্রায় ৫০ লক্ষ বছর পূর্বে আদিম মানুষরাই প্রথম এই অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। প্রাণী শিকার, খেলাধূলা, আত্মরক্ষা, যুদ্ধ, আত্মহত্যা, শত্রু পক্ষের ক্ষতিসাধন এবং অধিকার বিস্তারের উদ্দেশ্যে নতুন নতুন ডিজাইনে অস্ত্রের ব্যবহার হতে থাকে। বিভিন্ন দেশে আইনের মাধ্যমে অস্ত্রের উৎপাদন, দখল, বাণিজ্য এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও বিভিন্নভাবে পাচার হয় নিষিদ্ধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ক্ষাত হলো অবৈধ অস্ত্রের উৎপাদন ও বেচাকেনা। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার মানুষের দুর্ভোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিনিয়ত উস্কে দেয়। একটি অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঘটলে প্রায় সকল প্রকার অপরাধের মাত্রা বাড়তে থাকে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার মানবাধিকার লঙ্ঘন, উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি হয়। স্বার্থান্বেষী মহল মাদক উৎপাদন, বাজারজাত, বহন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মানব পাচার, চোরাচালান, জঙ্গিবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এর কাজে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে। সন্ত্রাসের শক্তি বা প্রাণই হলো অবৈধ অস্ত্র। একটি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য অবৈধ অস্ত্রই যথেষ্ট। গণতন্ত্রের চর্চা, ক্রমবিকাশ ও স্থায়িত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে শুধু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলেই হবে না বরং অবৈধ অস্ত্র যে হাত বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে স্বার্থন্বেষী মহলের হাতে পৌছায় সেই হাত বা রাস্তা বন্ধ করতে না পারলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আশির দশক বা নব্বই দশকের গোড়ার দিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি পাটিগণিত অংকের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। অংকটা ছিল এরকম “একটি চৌবাচ্চার তিনটি নল। দুইটি নল দিয়ে ঘন্টায় ৫০ লিটার পানি প্রবেশ করে এবং একটা নল দিয়ে ঘন্টায় ২০ লিটার পানি বের হয়ে যায়। তিনটি নল একত্রে চালু থাকলে ৩০০ লিটার বিশিষ্ট একটি চৌবাচ্চা ভরতে কত সময় লাগবে? ” অংকটার মূল বিষয় ছিল যে, যেহেতু পানি বাহিরের রাস্তা থেকে প্রবেশের রাস্তা বেশী হওয়ার ফলে চৌবাচ্চাটি ভরা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের উৎসের রাস্তা সমূহ বন্ধ করতে পারলে জনগণ তথা দেশ এর সুফল পাবে। ধন্যবাদ সবাইকে মোঃ সিদ্দিকুজ্জামান খাকি এডভোকেট জজ কোর্ট, গোপালগঞ্জ।

পুলিশ সংস্কার নাকি রাজনীতি সংস্কার? ============================== কয়েক দিন যাবত স্যোশাল মিডিয়ায় গত ৫ আগস্ট ঢাকা আশুলিয়া থানা এলাকার ভ্যান গাড়িতে লাশের স্তুপ এবং পরবর্তীতে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ একটি শৃঙ্খলা বাহিনী। যাদের শ্লোগান হলো “সেবাই পুলিশের ধর্ম”। রাষ্ট্র পুলিশকে অনেক অধিকার দিয়েছে, দিয়েছে তদন্ত করার অধিকার, জিজ্ঞাসাবাদের অধিকার, আসামি গ্রেফতারের অধিকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার অধিকার, হরতালের সময় দায়িত্ব পালনের অধিকার, প্রটোকল দেয়ার অধিকার, মামলা করার অধিকার, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দীর্ঘদিন রাজনৈতিক লোকজন পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে। আমাদের দেশে যদি রাজনীতিবিদরাই রাজনীতি করতেন তাহলে পুলিশকে ব্যবহার করলেও তেমন বদনাম হতো না। কিন্তু রাজনীতিতে জুটেছে ব্যবসায়ী, হাট-বাজারের ইজারাদার, ব্রীজের টোল সংগ্রহকারী, মাদক ব্যবসায়ী, বিদ্যুতের মিটার রিডার, টেলিফোনের লাইনম্যান, চোরাকারবারি, বেশ্যার দালাল,বাস-লন্চ টার্মিনালের মাস্তান, ফেরিঘাটের মাস্তান, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, ক্রীড়াবিদ, ইউটিউবার ইত্যাদি। এরা রাজনীতিকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে টাকা-পয়সা, জোত-জমি, সোনা-দানা,বাড়ি-গাড়ি, আর নর্তকী নিয়ে আরাম আয়েশের জন্য উন্নত রিসোর্ট বানানোর কাজে লিপ্ত থাকে। শর্টকাটে ধনাঢ্য হয়ে টাকা পয়সা, সোনা-দানা সংগ্রহ করে চালের ড্রাম, বালিশের খোল, মাটির নীচ, খাটের নীচ, ট্রাঙ্ক, আলমারি ইত্যাদি ভরতে চায়। ফলে তাদের এই সমস্ত অপকর্মে পুলিশকে ব্যবহার করে। পুলিশও রাজনৈতিক নেতাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেটার একটা কারণও আছে বটে।বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য একটা গল্প বলা যেতে পারে। হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর পিতার নাম ছিল আযর। আযর ছিল নমরূদের দেহরক্ষী। নমরূদ ছিল তখন একচ্ছত্র ক্ষমতাধর সম্রাট। হযরত ইব্রাহিম (আ:) সৃষ্টিকর্তাকে খুজতে গিয়ে পিতা আযরকে জিজ্ঞাসা করলেন আমার সৃষ্টিকর্তা কে? উত্তরে ইব্রাহিম (আ:) পিতা আযর বললেন কেন আমি, আবার প্রশ্ন করলেন আপনার সৃষ্টিকর্তা কে? উত্তরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর পিতা বললেন কেন নমরূদ, আবার প্রশ্ন করলেন নমরূদের সৃষ্টিকর্তা কে? তখন ইব্রাহিম (আ:) এর পিতা উত্তর দিতে পারে নাই। কারণ নমরূদ তখন দুনিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতার সম্রাট, নমরূদের আবার সৃষ্টিকর্তা কে হবে। যাইহোক ইব্রাহিম (আ:) হতাশ না হয়ে নিজেই সৃষ্টিকর্তা খুজতে গিয়ে সন্ধ্যার সময় দূর আকাশে আলোকিত তারা দেখে প্রথমে মনে করেন তারাই বুঝি আমার সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু কিছু সময় পরে দূর আকাশে বড় চাঁদের আলো আসলে তারার মিটিমিটি আলো ম্লান হয়ে যায়। তখন তিনি মনে করেন তারা নয় বরং চাঁদের এতো আলো তাহলে এই চাঁদই বুঝি আমার সৃষ্টিকর্তা। রাত পেরিয়ে সকাল হতে হতে দেখেন পূর্ব আকাশে বিশাল আকারের এক সূর্য। সূর্যের আলোয় চাঁদের আলো পুরাই ম্লান হয়ে গেছে। তখন ভাবলেন চাঁদ নয় বরং সূর্যই আমার সৃষ্টিকর্তা। সন্ধ্যার সময় দেখেন সূর্যও ডুবে আকাশ কালো হয়ে গেছে। তখন ইব্রাহিম (আ:) বুঝলেন যে, এর কোন কিছুই আমার সৃষ্টিকর্তা নয়, বরং এই তারা, চাঁদ, সূর্য যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার সৃষ্টিকর্তা। গল্পটা বললাম এই কারণে আমাদের দেশের পুলিশ দেখে তার নিজের ডিপার্টমেন্টের অফিসারদের ক্ষমতার থেকে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা অনেক বেশি। রাজনৈতিক লোকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলির হুমকি ২৪ ঘন্টার আগেই বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা পুলিশের আছে। অভিজ্ঞতা আছে রাজনৈতিক নেতার আদেশ না মানার কারণে প্রোমোশন ও বদলির ক্ষেত্রে প্রভাব। ফলে রাজনৈতিক নেতাদের পুলিশ আরাধনা করে তাদের যেকোনো কাজে ব্যবহার হতে পিছ পা হয় না। সবকিছু ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মনে করে এই বুঝি আমার রক্ষাকারী। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে তাতে পুলিশ সংস্কারের আগে দরকার রাজনীতি সংস্কার। রাজনীতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে দক্ষ, যোগ্য ও সৎ রাজনৈতিক লোকের হাতে। তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। ধন্যবাদ সবাইকে মো: সিদ্দিকুজ্জামান খাকি এডভোকেট জজ কোর্ট, গোপালগঞ্জ।

কাশিয়ানীতে স্ত্রীর লাশ দিতে এসে মা ছেলে শ্রীঘরে। ——- সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামের এই গৃহবধূর মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে আটক হয়েছেন তারা। বুধবার সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের নিহত পপির বাবা শিকদার হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আটক কৃত পপির স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুন (৫৫)। তারা খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা। বিবরণে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় পপিকে শ্বাসরোধ করে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত পপির একস্বজন। পপির পরিবার ও এলাকাবাসীর বিবরণে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পপিরভাই সোহাগকে রায়হান ফোন করে জানান, পপি জ্ঞান হারিয়েছেন। খবর পেয়ে সোহাগ ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এর কিছুক্ষণ পর ফোনেবলে পপি মারা গেছেন। মরদেহ নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর শংকরপাশায় এসে পৌঁছালে চলে মরদেহ দাফন-কাফনের প্রস্তুতি। কিন্তু নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে রায়হান ও তার মা আবেদা খাতুনকে আটকে রাখে তারা। আজ বুধবার সকালে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের মা রিজিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে রায়হান ও পপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্য পপিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পপিকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন।’ মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন,এ ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিত্বে দিজনকে বটক করা হয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের জ্ন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। তবে মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

কাশিয়ানীতে স্ত্রীর লাশ দিতে এসে মা ছেলে শ্রীঘরে। ——- সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামের এই গৃহবধূর মরদেহ তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে আটক হয়েছেন তারা। বুধবার সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের নিহত পপির বাবা শিকদার হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আটক কৃত পপির স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুন (৫৫)। তারা খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের বাসিন্দা। বিবরণে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় পপিকে শ্বাসরোধ করে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহত পপির একস্বজন। পপির পরিবার ও এলাকাবাসীর বিবরণে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পপিরভাই সোহাগকে রায়হান ফোন করে জানান, পপি জ্ঞান হারিয়েছেন। খবর পেয়ে সোহাগ ঢাকা থেকে মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এর কিছুক্ষণ পর ফোনেবলে পপি মারা গেছেন। মরদেহ নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর শংকরপাশায় এসে পৌঁছালে চলে মরদেহ দাফন-কাফনের প্রস্তুতি। কিন্তু নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে রায়হান ও তার মা আবেদা খাতুনকে আটকে রাখে তারা। আজ বুধবার সকালে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের মা রিজিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে রায়হান ও পপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্য পপিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পপিকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন।’ মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। কাশিয়ানী থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন,এ ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিত্বে দিজনকে বটক করা হয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের জ্ন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। তবে মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে। তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ সংস্কার নাকি রাজনীতি সংস্কার? ============================== কয়েক দিন যাবত স্যোশাল মিডিয়ায় গত ৫ আগস্ট ঢাকা আশুলিয়া থানা এলাকার ভ্যান গাড়িতে লাশের স্তুপ এবং পরবর্তীতে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ একটি শৃঙ্খলা বাহিনী। যাদের শ্লোগান হলো “সেবাই পুলিশের ধর্ম”। রাষ্ট্র পুলিশকে অনেক অধিকার দিয়েছে, দিয়েছে তদন্ত করার অধিকার, জিজ্ঞাসাবাদের অধিকার, আসামি গ্রেফতারের অধিকার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার অধিকার, হরতালের সময় দায়িত্ব পালনের অধিকার, প্রটোকল দেয়ার অধিকার, মামলা করার অধিকার, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দীর্ঘদিন রাজনৈতিক লোকজন পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে। আমাদের দেশে যদি রাজনীতিবিদরাই রাজনীতি করতেন তাহলে পুলিশকে ব্যবহার করলেও তেমন বদনাম হতো না। কিন্তু রাজনীতিতে জুটেছে ব্যবসায়ী, হাট-বাজারের ইজারাদার, ব্রীজের টোল সংগ্রহকারী, মাদক ব্যবসায়ী, বিদ্যুতের মিটার রিডার, টেলিফোনের লাইনম্যান, চোরাকারবারি, বেশ্যার দালাল,বাস-লন্চ টার্মিনালের মাস্তান, ফেরিঘাটের মাস্তান, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, ক্রীড়াবিদ, ইউটিউবার ইত্যাদি। এরা রাজনীতিকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে টাকা-পয়সা, জোত-জমি, সোনা-দানা,বাড়ি-গাড়ি, আর নর্তকী নিয়ে আরাম আয়েশের জন্য উন্নত রিসোর্ট বানানোর কাজে লিপ্ত থাকে। শর্টকাটে ধনাঢ্য হয়ে টাকা পয়সা, সোনা-দানা সংগ্রহ করে চালের ড্রাম, বালিশের খোল, মাটির নীচ, খাটের নীচ, ট্রাঙ্ক, আলমারি ইত্যাদি ভরতে চায়। ফলে তাদের এই সমস্ত অপকর্মে পুলিশকে ব্যবহার করে। পুলিশও রাজনৈতিক নেতাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেটার একটা কারণও আছে বটে।বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য একটা গল্প বলা যেতে পারে। হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর পিতার নাম ছিল আযর। আযর ছিল নমরূদের দেহরক্ষী। নমরূদ ছিল তখন একচ্ছত্র ক্ষমতাধর সম্রাট। হযরত ইব্রাহিম (আ:) সৃষ্টিকর্তাকে খুজতে গিয়ে পিতা আযরকে জিজ্ঞাসা করলেন আমার সৃষ্টিকর্তা কে? উত্তরে ইব্রাহিম (আ:) পিতা আযর বললেন কেন আমি, আবার প্রশ্ন করলেন আপনার সৃষ্টিকর্তা কে? উত্তরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর পিতা বললেন কেন নমরূদ, আবার প্রশ্ন করলেন নমরূদের সৃষ্টিকর্তা কে? তখন ইব্রাহিম (আ:) এর পিতা উত্তর দিতে পারে নাই। কারণ নমরূদ তখন দুনিয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতার সম্রাট, নমরূদের আবার সৃষ্টিকর্তা কে হবে। যাইহোক ইব্রাহিম (আ:) হতাশ না হয়ে নিজেই সৃষ্টিকর্তা খুজতে গিয়ে সন্ধ্যার সময় দূর আকাশে আলোকিত তারা দেখে প্রথমে মনে করেন তারাই বুঝি আমার সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু কিছু সময় পরে দূর আকাশে বড় চাঁদের আলো আসলে তারার মিটিমিটি আলো ম্লান হয়ে যায়। তখন তিনি মনে করেন তারা নয় বরং চাঁদের এতো আলো তাহলে এই চাঁদই বুঝি আমার সৃষ্টিকর্তা। রাত পেরিয়ে সকাল হতে হতে দেখেন পূর্ব আকাশে বিশাল আকারের এক সূর্য। সূর্যের আলোয় চাঁদের আলো পুরাই ম্লান হয়ে গেছে। তখন ভাবলেন চাঁদ নয় বরং সূর্যই আমার সৃষ্টিকর্তা। সন্ধ্যার সময় দেখেন সূর্যও ডুবে আকাশ কালো হয়ে গেছে। তখন ইব্রাহিম (আ:) বুঝলেন যে, এর কোন কিছুই আমার সৃষ্টিকর্তা নয়, বরং এই তারা, চাঁদ, সূর্য যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার সৃষ্টিকর্তা। গল্পটা বললাম এই কারণে আমাদের দেশের পুলিশ দেখে তার নিজের ডিপার্টমেন্টের অফিসারদের ক্ষমতার থেকে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতা অনেক বেশি। রাজনৈতিক লোকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বদলির হুমকি ২৪ ঘন্টার আগেই বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা পুলিশের আছে। অভিজ্ঞতা আছে রাজনৈতিক নেতার আদেশ না মানার কারণে প্রোমোশন ও বদলির ক্ষেত্রে প্রভাব। ফলে রাজনৈতিক নেতাদের পুলিশ আরাধনা করে তাদের যেকোনো কাজে ব্যবহার হতে পিছ পা হয় না। সবকিছু ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মনে করে এই বুঝি আমার রক্ষাকারী। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট তৈরী হয়েছে তাতে পুলিশ সংস্কারের আগে দরকার রাজনীতি সংস্কার। রাজনীতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে দক্ষ, যোগ্য ও সৎ রাজনৈতিক লোকের হাতে। তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। ধন্যবাদ সবাইকে মো: সিদ্দিকুজ্জামান খাকি এডভোকেট জজ কোর্ট, গোপালগঞ্জ।

যৌথ বাহিনীর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান বনাম চৌবাচ্চার অংক :::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::: আদিম যুগে শিকারের পিছনে ধাওয়া করে প্রাণী শিকার করা হতো। ধাওয়া করতে করতে কখনো উঁচু পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে প্রাণীর গায়ে লাগলে সহজেই পরাস্ত হতো। এর থেকে ধারণা তৈরী হয় শিকারের জন্য পিছনে ধাওয়া করার চেয়ে বরং পাথর দিয়ে আঘাত বা ঢিল মেরে শিকার পরাস্ত করা অনেক বেশি সহজ। পাথর যদি সূচালো থাকে তাহলে প্রাণী সহজে পরাস্ত হয়। পরে পাথর ঘষে সূচালো করতে থাকে এবং সূচালো বস্তুই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হতে থাকে। ধারণা করা হয় প্রায় ৫০ লক্ষ বছর পূর্বে আদিম মানুষরাই প্রথম এই অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। প্রাণী শিকার, খেলাধূলা, আত্মরক্ষা, যুদ্ধ, আত্মহত্যা, শত্রু পক্ষের ক্ষতিসাধন এবং অধিকার বিস্তারের উদ্দেশ্যে নতুন নতুন ডিজাইনে অস্ত্রের ব্যবহার হতে থাকে। বিভিন্ন দেশে আইনের মাধ্যমে অস্ত্রের উৎপাদন, দখল, বাণিজ্য এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারপরও বিভিন্নভাবে পাচার হয় নিষিদ্ধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ক্ষাত হলো অবৈধ অস্ত্রের উৎপাদন ও বেচাকেনা। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার মানুষের দুর্ভোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিনিয়ত উস্কে দেয়। একটি অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ ঘটলে প্রায় সকল প্রকার অপরাধের মাত্রা বাড়তে থাকে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার মানবাধিকার লঙ্ঘন, উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতাসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি হয়। স্বার্থান্বেষী মহল মাদক উৎপাদন, বাজারজাত, বহন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মানব পাচার, চোরাচালান, জঙ্গিবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এর কাজে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে। সন্ত্রাসের শক্তি বা প্রাণই হলো অবৈধ অস্ত্র। একটি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য অবৈধ অস্ত্রই যথেষ্ট। গণতন্ত্রের চর্চা, ক্রমবিকাশ ও স্থায়িত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে শুধু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলেই হবে না বরং অবৈধ অস্ত্র যে হাত বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে স্বার্থন্বেষী মহলের হাতে পৌছায় সেই হাত বা রাস্তা বন্ধ করতে না পারলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আশির দশক বা নব্বই দশকের গোড়ার দিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি পাটিগণিত অংকের কথা স্মরণ করা যেতে পারে। অংকটা ছিল এরকম “একটি চৌবাচ্চার তিনটি নল। দুইটি নল দিয়ে ঘন্টায় ৫০ লিটার পানি প্রবেশ করে এবং একটা নল দিয়ে ঘন্টায় ২০ লিটার পানি বের হয়ে যায়। তিনটি নল একত্রে চালু থাকলে ৩০০ লিটার বিশিষ্ট একটি চৌবাচ্চা ভরতে কত সময় লাগবে? ” অংকটার মূল বিষয় ছিল যে, যেহেতু পানি বাহিরের রাস্তা থেকে প্রবেশের রাস্তা বেশী হওয়ার ফলে চৌবাচ্চাটি ভরা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রের উৎসের রাস্তা সমূহ বন্ধ করতে পারলে জনগণ তথা দেশ এর সুফল পাবে। ধন্যবাদ সবাইকে মোঃ সিদ্দিকুজ্জামান খাকি এডভোকেট জজ কোর্ট, গোপালগঞ্জ।

© All rights reserved © 2024